২০০০ সালে মিস ইন্ডিয়া আর মিস এশিয়া-প্যাসিফিকের মুকুট দিয়া মির্জার মাথায় উঠেছিল। পরের বছর ‘র্যাহনা হ্যায় তেরে দিল মে’ ছবি দিয়ে শুরু করেন বলিউডযাত্রা।
প্রথম সিনেমাই সুপারহিট। শুরুটা রূপকথার গল্পের মতো হলেও হাঁটতে হাঁটতে কি হোঁচট খেলেন তিনি?
বলিউডে দুই দশক পার করে ক্যারিয়ার নিয়ে কোনো আক্ষেপ আছে দিয়ার? সংবাদমাধ্যমের এমন প্রশ্নে দিয়া বলেন, ‘আমার উত্তর শুনলে মনে হবে, আমি অকৃতজ্ঞ।
কিন্তু আমি যা বলছি তা-ই সত্যি। সিনেমা আর আমার মধ্যে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে আমার রূপ। “অতিরিক্ত সুন্দরী” হওয়ার “অপরাধে” অনেক ছবি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে আমাকে। অদ্ভুতভাবে আমার গায়ের রং আমার ক্যারিয়ারের বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কেননা বেশির ভাগ চরিত্রের গায়ের রং সে রকম নয়। চরিত্রগুলোর চেহারাও আমার সঙ্গে মেলে না।’

ইউনাইটেড নেশনসের (ইউএন) এই গুডউইল অ্যাম্বাসেডর আরও বলেন, ‘আমি যখন পেছনে ফিরে তাকাই, মনে হয় এসব হওয়ারই ছিল। ১৬ বছর বয়সে আমি মডেলিং শুরু করি। তারপর মিস ইন্ডিয়ার মুকুট আমার ক্যারিয়ারের মোড় ঘুরিয়ে দিল। হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎই দৌড়াতে শুরু করলাম। এখনো নানা কাজ করছি।’

এর আগে বলিউডে স্বজনপ্রীতি নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন দিয়া। বলিউডে স্বজনপ্রীতি আর লেজুড়বৃত্তি আছে মন্তব্য করে দিয়া বলেন, ‘শুধু বলিউড কেন, সমাজের সবখানে আছে।
প্রাথমিক বিদ্যালয়েও একজন শিক্ষকের প্রিয় ছাত্রছাত্রী থাকে। তবে হয়তো আমি কখনোই কারও প্রিয় হতে পারিনি। আমি কখনোই ছবি পাওয়ার জন্য কারও প্রিয় হতে চাইনি।
কিন্তু এটাই যখন প্রতিষ্ঠিত আর একমাত্র নিয়ম হয়ে দাঁড়ায়, তখন সেটা একটা সামাজিক ব্যাধি হিসেবে ধরা পড়ে। বলিউডে এমন অনেকেই আছেন, যোগ্যতার চেয়ে তাঁরা অনেক বেশি পেয়েছেন।

আর তাঁদের চেয়ে কয়েক শ গুণ বেশি মানুষ আছেন, যাঁদের মেধা, সততা আর প্রচেষ্টার কোনো মূল্যায়ন হয়নি।
তাঁরাও আমার মতো কারও প্রিয় হতে পারেননি। মেরুদণ্ড সোজা রেখে, মাথা উঁচু করে স্বাধীনভাবে বাঁচতে চেয়েছেন। তবে এমন অনেকেই আছেন, যাঁরা এই বেলা “স্বজনপ্রীতি” “স্বজনপ্রীতি” করে চেঁচিয়ে ব্যক্তিগত স্বার্থ উদ্ধার করছেন। এটাও কোনো সুস্থ চর্চা নয়।’
